বিজ্ঞপ্তি : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: সোহরাব হোসোইন বলেন, একজন শিক্ষক মৃত্যুর পরও সকলের কাছে শ্রদ্ধেয় থাকেন। অন্যকোন পেশায় এটি সম্ভব নয়। যে কোন জেলার প্রধান কলেজটি জেলার অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কলেজকে শিক্ষা ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ সঠিকভাবে সে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং এ কলেজের শিক্ষকগণ অনুরূপ দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ২০ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মাইন উদ্দিন পাঠান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ শহীদ উদ্দীন, লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রসুন চন্দ্র মজুমদার, রায়পুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মাহাবুবুল করিম, কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর বিপ্লব কুমার সাহা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো:সাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল রেদোয়ান আরমান শাকিল এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক গোলাম মাওলা চৌধুরী (আজাদ বুলবুল), লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, আমাদের ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হয়েছে, ২ লক্ষ মা বোন তাদের শ্রেষ্ঠ-সম্পদ সম্ভ্রম হারিয়েছে, ৬ লক্ষ নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছে, ১ কোটি লোক শরনার্থী হয়েছে, বিশ্বের কোন জাতিকে এত আত্মত্যাগ করে স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়নি। এটি মনে রেখে আমাদেরকে উন্নয়নের পথে হাঁটতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে সততাও দেশপ্রেমের সাতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে জাপান বাংলাদেশের পাশে আছে। এমন একদিন আসবে যেদিন বিশ্ব মিডিয়া বলবে “বাংলাদেশ জাপানের পাশে আছে।
মতবিনিময় সভা শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার, বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ, কলেজ মিলনায়তন ও পতাকা মঞ্চসহ কলেজের অন্যান্য স্থাপনা পরিদর্শন করেন।