লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সুপ্রিম কোর্টের স্থিতিবস্থার আদেশ লঙ্ঘন করে পৌরসভার মার্কেট নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। রামগঞ্জ পৌর মেয়র মো. আবুল খায়েরের নেতৃত্বে বিরোধীয় জমিতে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
রোববার (৩ এপ্রিল) জমির মালিকানা দাবিদার মহসিন হোসেন নামে এক ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন।
তবে পৌরসভার মেয়র বলছেন, সরকারি খাস জমিতে পৌরসভার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পক্ষ থেকে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে মহসিন হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রামগঞ্জ উপজেলার ৬৫ নম্বর আঙ্গারপাড়া মৌজার ১৭০ নম্বর খতিয়ানের ৭০৫ নম্বর দাগে ৪১ শতাংশ জমির খরিদ সূত্রে আমরা সাতজন মালিক। ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি জমিটি কেনা হয়। যার দলিল নম্বর ৩১০। ওই জমিটি এমআরআর জরিপে সরকারের নামে রেকর্ড হলে লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলা নম্বর দেঃ ১৭/১৯৯৭। এতে আমাদের মালিকানার পক্ষে দোতরফা সূত্রে আদালত রায় ও ডিগ্রি দিয়ে থাকেন। এর বিরুদ্ধে তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আপিল করলে আদালত পুনঃ বিবেচনার জন্য ২০১১ সালে নিন্ম আদালতে পাঠান। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে সিভিল রিভিশন দায়ের করলে আদালত আপিলের রায় ডিগ্রি স্থগিত করেন।
তিনি বলেন, বিবাদীরা আমাদেরকে জমি থেকে দখলচ্যুত করার চেষ্টা করলে আমরা আদালতে আবেদন করি, পরে আদালত স্থিতিবস্থার আদেশ দেন। ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে শুনানি শেষে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পুনঃ বিবেচনার জন্য লক্ষ্মীপুর আদালতে পাঠান। এছাড়া ওই জমিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য জেলা প্রশাসনকে বলা হয়। কিন্তু গত ডিসেম্বর থেকে রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের আমাদের ওই জমিতে পৌরসভার জন্য মার্কেট নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৭ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকা মামলার ভূমির ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।
এর পরেও পৌর মেয়র আদেশ অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বাধা দেওয়ায় আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা এখন ভয়ে গা-ঢাকা দিয়ে আছ।
মহসিন হোসেন বলেন, আদেশ অমান্য করে কাজ করায় সর্বশেষ গত ২৭ মার্চ আমাদের আইনজীবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনকে অবমাননার নোটিশ দেন আদালত। এতে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে নির্মাণ কাজ আরও দ্রুত চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে আদালতের আদেশ মেনে বিতর্কিত জমির ওপর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পৌর মেয়র আবুল খায়ের বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি খাস জমিতে এলজিইডি টেন্ডার আহ্বান করে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে আমার সম্পৃক্ততা নেই। জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই।