লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে করোনা টিকার নিবন্ধনে ইপিআই টিকাকেন্দ্রে বসে টাকা নেওয়া ও সহযোগিতার অভিযোগে সেই তিন স্বাস্থ্যকর্মীকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।। তাঁরা হলেন চরপাতা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী সুনীল চন্দ্র দেবনাথ, পরিবার কল্যাণ সহকারী চন্দনা রানী নাথ ও গাজিনগর কমিউনিটি সেন্টারের সিএইচসিপি নুরজাহান বেগম। অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একটি কমিটিতে ফেনীর দাগনভূঁইয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম ও ফেনী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান রয়েছেন। এটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান ডাঃ মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, টিকা চলমান থাকায় সোমবার নাগাদ আমাদের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করার আশা করছি। কারো ব্যক্তিগত অন্যায়ের কারণে পুরো বিভাগের সুনাম ক্ষুন্ন হোক এটা আমরা চাইনা। সাক্ষ্য-প্রমাণে যেটা পাওয়া যাবে সেটাই আমরা প্রতিবেদনে উল্লেখ করবো।
অপরদিকে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে। তাঁরা হলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাক্তার বাহারুল আলম, চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাক্তার মাহমুদ হাসান ও ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক শহিদুল হক।
তদন্ত কমিটির প্রধান আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডাক্তার বাহারুল আলম বলেন, অভিযুক্ত ৩ জনকে তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমি অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় রয়েছি। সোমবার ফিরে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করবো।
তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাক্তার জাকির হোসেন বলেন, জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।