মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবলা এলাকার কৃষক আবদুল বাছিত। তার দুটি গরুর একটির শরীরে তিনি হঠাৎ দেখতে পান গুটি গুটি কিছু একটা বের হয়েছে এবং লোম পড়ে যাচ্ছে।
গরুর শরীরের তাপমাত্রাও বেশি। কিছু খেতেও চাচ্ছে না। মুখ এবং নাক দিয়ে লালা বের হচ্ছে। গ্রামের পশু ডাক্তারের মাধ্যমে বেশ কিছু দিন চিকিৎসা করার পরেও কমছে না। উল্টো গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরেছে।
এক মাস পর চিকিৎসার জন্য জেলা পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করে জানতে পারেন এই রোগের নাম ‘লাম্পি স্কিন’। রোগ শনাক্ত করতে দেরি হওয়ায় এখন গরু বাঁচিয়ে রাখাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আবদুল বাছিতের গরুর মতো জেলায় ৬ হাজার গরু ‘লাম্পি স্কিন’ নামক এই রোগে আক্রান্ত। মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর থেকে এই রোগে গরু আক্রান্ত হচ্ছে। এর আগে এই রোগ কৃষকের বা খামারিদের চোখে পড়েনি।
লাম্পি স্কিন নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি গরু মারা যাওয়া খবর পাওয়া গেছে।
এক বছর আগে থেকে এই রোগ এলেও গত প্রায় ৩-৪ মাস ধরে জেলার ৭টি উপজেলায় এ রোগ ছড়িয়েছে ব্যাপকভাবে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ১১০টি গরু।
মৌলভীবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, পুরো জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬১১০টি গরু। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২০টি। তার মধ্যে কুলাউড়ায় ১০টি, শ্রীমঙ্গলে ৭টি এবং জুড়ীতে ৩টি।
শতাধিক গরু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করানোর কারণে।