বিশেষ প্রতিনিধি : মাছ ধরার অজুহাতে চলমান বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় অসাধু লোকজন কতৃক রামগঞ্জ উপজেলাব্যাপী খাল গুলোয় গণহারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। মাছ ধরার নামে সৃস্ট এ বাঁধার কারণে উজানে আসা পানি চলাচলে চরম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চলতি মৌসুমের শেষভাগে উপজেলার বেড়ির বাহিরে দীর্ঘ মেয়াদী জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করে পৌরসভা সহ ৮টি ইউনিয়নের ৪ লক্ষাধিক জনগনের ভোগান্তির পাশাপাশি খাদ্যের অভাবে গণহারে গৃহপালিত পশু-পাখির মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রামগঞ্জের প্রধান প্রধান খাল গুলোর মধ্যে রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ী খাল, বালুয়া চৌমুহনী টু সমিতির বাজার-জকসিন খাল, কচুয়া টু সমিতির বাজার-নাগেরহাট খাল, সোনাপুর টু চিতোষী খাল, সোনাপুর টু হাজীগঞ্জ খাল, কমর উদ্দিন টু ডাকাতিয়া খাল, বালুয়া চৌমুহনী টু ভাদুর খাল উল্লেখযোগ্য।
সরজমিনে পরিদর্শনকালে ভাটরা ইউপির হীরাপুরের লোকজন জানান, তাদের অঞ্চলের পানি নিস্কাশনের একমাত্র খালটির বেশ কয়েকটি স্থানীয় স্থানীয় প্রভাবশালী মহল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বাঁধ নির্মান করেছে। পানিয়ালার লোকজন জানান, খোদ বাজার অংশে এক মার্কেটের মালিক পুরো খাল দখল করেনিয়েছে। পাশাপাশি চিতোষী খালের নোয়াপাড়া ও আকারতমা নামকস্থানে এক ব্রিকফিল্ড মালিক পুরো খালে বাঁধদিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও ভাদুর খালে বেশ কয়েকটি স্থানীয় কুচক্রী মহল রাতের আঁধারে বাশের তৈরি গরা দিয়ে ব্যারিকেট দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, বাঁধ-ব্যারিকেট ছাড়াও মাছ শিকারের নামে শতাধিক স্থানে বেহাল জাল বসিয়ে পানি চলাচলে কার্যত প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়েছে। সোনাপুরের লোকজন জানান,সোনাইমুড়ী খালের খোদ রামগঞ্জ অংশে বাঁদ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জনতা গ্রুপ নামের একটি কোম্পানী থানার সামনে জেলা পরিষদের খাল দখল করে বহুতল ভবনের নির্মান কাজ আব্যাহত রেখেছে। এভাবে উপজেলাব্যাপী প্রায় ২ শতাধিক ব্যারিকেট দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইউসুফ মিয়া জানান,অচিরেই খালে ব্যারিকেট প্রদানকারীদের তালিকা প্রস্তুত করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, শিগ্রই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।