বিশেষ প্রতিনিধি : রামগঞ্জে চলছে খাল দখলের মহোৎসব। নামমাত্র লিজ কিংবা গায়ের জোরে দখলদার বাহিনী কতৃক ওই জবর দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় উপজেলা ব্যাপী ৮ টি প্রধান খাল এবং ১৩৬ টি শাখা খালের অধীকাংশই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বাকী খাল গুলোও ইতিমধ্যে কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। বছরের পর বছর ধরে এই জবর দখল চলে আসলেও খাল দখল মূক্ত করনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পাউবো কতৃক অদ্যাবধি তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এতে করে ভবিষ্যতে রামগঞ্জ বাসী মারাত্নক পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে বলে এলাকার সচেতন মহল কতৃক শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, উপজেলা ব্যাপী প্রধান প্রধান খাল গুলোর মধ্যে রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ী খাল,ওয়াপদা খাল,সোনাপুর-হাজীগঞ্জ খাল, বালুয়া চৌমুহনী-জকসিন খাল,বালুয়া চৌমুহনী-ভাদুর খাল, সোনাপুর-চিতোষী খাল,পানিয়ালা-ডাকাতিয়া নদী সংযোগ খাল উল্লেখযোগ্য। এই খাল গুলো থেকে শাখা প্রশাখায় রয়েছে অন্তত ১৩৬ টি খাল। বিগত ৮০ দশকের পর থেকেই রামগঞ্জ বাজারের জেলা পরিষদ খাল দখলের মধ্য দিয়ে মূলত খাল দখল শুরু হয়। বর্তমানে ওই খালের অস্তিত্ব নেই। এই ছাড়াও সোনাপুর পুরান বাজারের জেলা পরিষদ খালটিও বর্তমানে মৃত। দখলদার বাহিনী পাউবো থেকে নামমাত্র লিজ নিয়ে এমন ভাবে অফিস,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,আবাসস্থল গড়ে তোলার পাশাপাশি নির্বিচারে বালু উত্তোলনের কারনে ওয়াপদা খালটি বর্তমানে হুমকীর মূখে। জনশ্রুতি রয়েছে লিজের নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় পাইবো কতৃপক্ষ বিষয়টি দেখেও নীরব ভূমিকা পালন করছে।
সম্প্রতি পৌরসভার নন্দনপুরে জনৈক ব্যাক্তি চলমান খাল ভরাট করে ইমারত নির্মান অব্যাহত রেখেছে। রামগঞ্জ বাজার টু সোনাইমুড়ী খালের রামগঞ্জ বাজার অংশ,বালুয়া চৌমুহনী বাজার অংশ,কচুয়া বাজার অংশ,আলীপুর অংশের দুপাশ দখল হয়ে গেছে। পানিয়ালা টু দুধরাজপুর খালে বিভিন্ন অংশে বাঁদ নির্মান করে দখলে নিয়ে গেছে দখলবাজরা। সমিতির বাজার টু কচুয়া,বালুয়া চৌমুহনী টু সমিতির বাজার,সমিতির বাজার টু করপাড়া খাল ইতিমধ্যে দখল হয়ে গেছে। পানিয়ালা বাজারের লোকজন জানান, পানিয়ালা বাজার টু ডাকাতিয়া নদী পর্যন্ত খালটি বর্তমানে নেই বল্লেই চলে। এ ভাবেই উপজেলার প্রায় সবগুলো খাল দখলের আওতায় চলে যাওয়ায় অত্র অঞ্চলের লাখ লাখ জনগনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, চলমান খাল সংকট নিয়ে এ পর্যন্ত আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। বিষয়টি যখন জেনেছি অতিসত্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।